অবিভাবকদের ধারণা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতি বা যোগসাজশে চলছে এই ব্যবসায়।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রশংসাপত্রের নামে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রশংসা পত্রের জন্য নেয়া হচ্ছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা। টাকা না দিলে দিনের পর দিন ঘুরেও মিলছেনা প্রশংসাপত্র।
জানা গেছে, এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখন ভর্তি হবেন একাদশ শ্রেণীতে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাবেক প্রতিষ্ঠানের প্রশংসাপত্র দরকার। আর এই সুযোগে বাণিজ্য শুরু করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। টাকা ছাড়া দিচ্ছেন না প্রশংসাপত্র। একটি প্রশংসাপত্র পেতে কম পক্ষে ৪০০ টাকা দিতে হয়। অনেক অসহায় শিক্ষার্থীরা টাকা দিতে না পারায় তাদের প্রশংসাপত্র দেয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন ঘুরেও প্রশংসাপত্র পাচ্ছেন না অনেকেই।
উচাখিলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘তিন চার দিন ধরে প্রশংসাপত্র নেয়ার জন্য স্কুলের বারান্দায় ঘুরতেছি। কিন্তু আমাদেরকে প্রশংসাপত্র দেয়া হচ্ছে না। যারা টাকা দিতে পারছে তাদেরকে প্রশংসাপত্র দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন টাকা ছাড়া স্কুলের ধারে কাছে না আসতে। তারা বলেছেন বিনা টাকায় প্রশংসাপত্র হয় না।’
সোহাগী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোঃ রিয়াদ জানান, দিন চার দিন টাকা ছাড়া স্কুলে গেছি। কিন্তু প্রশংসাপত্র দেয় নাই। শেষ পর্যন্ত কোন উপায় না পেয়ে ৫০০ টাকা দিয়ে প্রশংসাপত্র নিয়ে আসছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেয়ার বিধান নেই। তবে অনেকেই খুশি হয়ে দিয়ে যায়, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। কিন্তু কাউকে আটকিয়ে টাকা রাখাটা অন্যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালকরা বলেন, ‘এটা তো সবসময় হয়ে আসছে। তবে সবাই তো দেয় না। গরীবদের ছাড় দেয়া হয়। আর আমরা এই টাকা স্কুলের কাজেই ব্যবহার করি।’
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ হাফিজা জেসমিন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, প্রশংসাপত্রের জন্য আলাদাভাবে অর্থ নেয়ার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।